ব্রাজিলের হেক্সা জয়ের অপেক্ষা এখন ২০ বছরের। ২০১৪ সালে ঘরের মাটিতে ৭-১ এ হার আর ২০১৮-এর ম্লান পারফরম্যান্স পাঁচবারের চ্যাম্পিয়নদের সঙ্গে যায় না একেবারে। নেইমারদের প্রজন্মের এবারই সেরা সুযোগ ব্রাজিলকে আবার চ্যাম্পিয়ন বানানোর। তুমুল এই প্রত্যাশা আবার চাপ হয়ে সব কিছু ভণ্ডুল করে দেবে না তো!
সেলেসাওদের জার্সিতে বিশ্বকাপে অভিষেকের অপেক্ষায় থাকা বার্সেলোনা তারকা রাফিনিয়া যদিও বলছেন, চাপ শব্দটা একেবারেই যায় না ব্রাজিলের সঙ্গে, ‘ব্রাজিল প্রতিবারের মতো এবারো ফেভারিট।
বিশ্বকাপ বা যেকোনো বড় আসরে আমরা শিরোপার জন্যই খেলি। তাই সমর্থকদের প্রত্যাশা থাকবেই। আমাদের দলটা তেমনই উঁচু মানের, বিশ্ব ফুটবলের সব বড় নাম এখানে খেলে। ’
বিশ্বকাপ দলের অংশ হয়ে দলটির চ্যাম্পিয়ন মানসিকতাও অনুভব করছেন এই ফরোয়ার্ড, ‘একটা দল জয়ের মধ্যে থাকলে যে আত্মবিশ্বাস কাজ করে তা পুরোপুরিই আছে আমাদের মধ্যে। আমরা কাতারে শিরোপার জন্যই যাচ্ছি। সবাই এই লক্ষ্যে দারুণ চনমনেও হয়ে আছে। ’ বিশ্বকাপ বাছাইয়ে এবার কনবেমল অঞ্চল থেকে রেকর্ড পয়েন্ট নিয়ে সবার আগে চূড়ান্ত পর্ব নিশ্চিত করেছে ব্রাজিল। সেলেসাওরা সেই ফর্মটাই ধরে রাখতে চাইবে কাতারে। ২৪ নভেম্বর সার্বিয়ার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে বিশ্বকাপ শুরু হচ্ছে তিতের দলের।
সার্বিয়াকে গত আসরেও গ্রুপ পর্বে পেয়েছিল ব্রাজিল। জিতেছিল ২-০তে। রক্ষণ জমাট করে মূলত প্রতি-আক্রমণে খেলার চেষ্টা করবে ব্রাজিল। তাদের রক্ষণে ফোকর বের করাটাই তাই মূল চ্যালেঞ্জ হবে তিতের। ব্রাজিল এবার ফরোয়ার্ড লাইনের ৯ খেলোয়াড় নিয়ে বিশ্বকাপে যাচ্ছে। তিতের হাতে তাই বিকল্প অনেক। মূল একাদশের রিশার্লিসনকে সামনে রেখে বামে ভিনিসিয়ুস জুনিয়র ও ডানে রাফিনিয়াকে খেলানোর বিষয়টিই আলোচনায়। তুরিনে নেইমারহীন ব্রাজিলের প্রথম দিনের অনুশীলনেও ছিল সেই ছাপ। রাশিয়ায় নেইমার বাঁ দিক থেকে শুরু করেছিলেন। এবার পিএসজি তারকাকে হয়তো রিশার্লিসনের নিচে থেকে আক্রমণভাগকে নিয়ন্ত্রণ করতে দেখা যাবে। তিতেই যেমন বলেছেন, ‘নেইমারের কাজটা অনেকটা তিনটি তীরের পেছনে ধনুকের মতো। ’ দুই দিকে লুকাস পাকেতা, গ্যাব্রিয়েল মার্তিনেলি ও অ্যান্তনি সুযোগের অপেক্ষায় থাকবেন।
রিশার্লিসনের জায়গা নিতেও তৈরি আছেন তিনজন- গ্যাব্রিয়েল জেসুস, রোদ্রিগো ও পেদ্রো। সর্বশেষ কোপা লিবার্তাদোরেসের সর্বোচ্চ গোলদাতা পেদ্রোকে নিয়ে তিতে তাঁর মুগ্ধতার কথা জানিয়েছেন। ব্রাজিল আগামী শুক্রবার পর্যন্ত তুরিনেই অনুশীলন করবে, শনিবার পৌঁছাবে দোহায়। এশিয়ানেট
জার্সি নম্বরসহ স্কোয়াড
গোলরক্ষক : ১. আলিসন, ২৩. এদেরসন, ১২. ওয়েভের্তন
রক্ষণভাগ : ২৪. ব্রেমার, ১৪. এদের মিলিতাও, ৪. মার্কিনোস, ৩. থিয়াগো সিলভা, ২. দানিলো, ১৩. দানি আলভেস, ৬. অ্যালেক্স সান্দ্রো, ১৬. অ্যালেক্স তেলেস
মধ্যমাঠ : ১৭. ব্রুনো গিমারেস, ৫. কাসেমিরো, ২২. এভের্তন রিবেইরো, ১৫. ফাবিনিও, ৮. ফ্রেদ, ৭. লুকাস পাকেতা
আক্রমণভাগ : ১৯. অ্যান্তোনি, ১৮. গ্যাব্রিয়েল জেসুস, ২৬. গ্যাব্রিয়েল মার্তিনেলি, ১০. নেইমার, ২৫. পেদ্রো, ১১. রাফিনিয়া, ৯. রিশার্লিসন, ২১. রোদ্রিগো, ২০. ভিনিসিয়ুস জুনিয়র।